অধিকাংশ ইন্ডাষ্ট্রি বা
বড় বড় প্রতিষ্ঠানে Fire Safety খুব গুরুপ্ত্বপূর্ণ একটা বিষয়। একাডেমিক পড়াশোনায় এইটা
অনেক ক্ষেত্রে পড়ানো হয়, অনেক ক্ষেত্রে হয় না। কিন্তু প্রফেশনাল লাইফে এই সম্পর্কে
জানা বেশ জরুরী।বিভিন্ন প্র্রতিষ্ঠান মাঝে মাঝেই এর উপর ট্রেনিং এর আয়োজন করে থাকে।বহুজাতিক
(Multinational) কোম্পানিগুলোতে পরীক্ষা দিতে গেলে এই সম্পর্কে দুই একটা প্রশ্নও করা
হয়ে থাকে।
১।
Fire কি?
Fire is the visible
effect of the process of combustion
– a special type of chemical
reaction. It occurs between oxygen
in the air and some sort of fuel.
The products from the chemical reaction are completely different from the
starting material.
বলা হয়ে থাকে তিনটি জিনিসের
উপস্থিতি আগুন ধরায়।সেগুলো হলো-
a. পর্যাপ্ত তাপ (Enough Heat), b. জ্বালানী(Fuel) এবং c. অক্সিজেন
(Oxygen)।
আর এই তিনটি প্যারামিটার
একসঙ্গে একটি ত্রিভুজ তৈরি করে। একে ফায়ার ট্রাইআংগেল (Fire Triangle) বলে।
২।ফায়ারের
প্রকারভেদ(Classification of Fire)
i) সাধারণ দাহ্যঃ
(Ordinary combustibles):
এগুলো সাধারণত কাগজ, কাঠ, প্লাস্টিক, কাপড় জাতীয় পদার্থ থেকে উদ্ভূত আগুন।এদেরকে
“A Class” ফায়ারও বলে।
ii) দাহ্য তরল (Flammable Liquids)ঃ জ্বালানী তেল(ডিজেল,পেট্রোল,অকটেন ইত্যাদি),
সারাধারণ দাহ্য দ্রাবক সমূহ।এদেরকে “B Class” ফায়ারও বলে।
iii)দাহ্য গ্যাসঃ মিথেন, প্রপেন, হাইড্রোজেন, অ্যাসিটিলিন বা প্রাকৃতিক গ্যস।
এদেরকে “C Class” ফায়ারও বলে।
iv) চার্জিত ইলেক্টিক্যাল সার্কিট
৩। অগ্নি নির্বাপক বা
ফায়ার এক্সটিংগুইশারঃ(Fire Extinguiser)
সাধারণত কার্বন-ডাই-অক্সাইড
(CO2), ড্রাই পাওডার (Dry Powder) বা ফোম (Foam)এই তিন জাতীয় ফায়ার এক্সটিংগুইশার ব্যবহার করা হয়।
৪।বিভিন্ন ধরনের আগুনের
জন্য বিভিন্ন ধরনের নির্বপাক ব্যবহার করা হয়।
v সাধারণত পানি,
বালি দিয়ে A Class ফায়ার নিয়ন্ত্রণ করা বা নেভানো যায়।
v ড্রাই পাউডার ফায়ার এক্সটিংগুইশার দিয়ে A class, B
Class এবং C Class আগুন নেভানো হয়।এজন্য একে ABC ড্রাই পাউডারও বলে।
v কার্বন ডাই অক্সাইড ফায়ার এক্সটিংগুইশার B Class এবং চার্জিত ইলেক্টিক্যাল
সার্কিট এর আগুন নেভানো হয়।
v ফোম জাতীয় ফায়ার এক্সটিংগুইশার A class এবং B Class এর আগুন নেভানো হয়।
৫। ফায়ার এক্সটিংগুইশার
ব্যবহারের নিয়মঃ PASS
PULL > Aim
> Squeeze (Press) >Sweep
P- Pull the Pin. এক্সটিংগুইশারের
মুখের পিনটি টেনে খুলুন।
A-Aim Low at the base of
fire. এক্সটিংগুইশারের মুখ বা নজোলটাকে আগুনের গোড়ার দিকে তাক করুন।
S- Squeeze the lever above
the handle. এক্সটিংগুইশারের হাতলের লিভারটাকে চাপ দিন।
S- Sweep from side to side.
বাতাসের গতি লক্ষ করে নজোলটাকে ঠিকমত ঘুরিয়ে আগুন নিভান।
অবশ্যই বাতাসের গতি
লক্ষ্য করতে হবে। কারণ কার্বন-ডাই-অক্সাইড এক্সটিংগুইশার ব্যবহার করার সময় কখনোই বাতাসের
বিপরীতে থাকা যাবেনা। তাহলে কার্বন-ডাই-অক্সাইড নিঃশ্বাস বন্ধ করে দিবে।
৬। আগুন লাগলে করণীয়।
খুব সুন্দর একটা নির্দেশিকা আছে স্বয়ং ফায়ার শব্দটার মাঝেই। FIRE
F=Find
I=Inform
R= Restrict
E=Extinguish
আগুন ধরলে আগে খুঁজে বের করতে হবে কোথায় আগুন লেগেছে, আগুনের উৎস কি। তারপর সবাইকে
ইনফর্ম করতে হবে বা জানাতে হবে। তারপর একার পক্ষে সম্ভব হলে একাই অথবা দক্ষদের সংগে
নিয়ে আগুনের উৎসটাকে আলাদা করে ফেলতে হবে।তবে অবশ্যই একা ঝুঁকি নেওয়া যাবে না। তারপর
আগুন নিভানোর কাজ শুরু করতে হবে।